
অস্থি ক্ষয় ও অস্থি ভাঙনের প্রতিষেধক হিসেবে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্টের ব্যবহার সর্বজনবিদিত হলেও সম্প্রতি এর আরেক গুণের কথা জানা গেল।
যাদের প্রি-ডায়াবেটিস অর্থাৎ ডায়াবেটিস এখনো হয়নি, কিন্তু হতে পারে; তাদের পূর্ণমাত্রায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি কমিয়ে দেয় ভিটামিন ডি।
বোস্টনের টাফটস মেডিকেল সেন্টারের মুখ্য গবেষক আন্নাস্টাসিওস পিট্টাস জানিয়েছেন, যাদের ডায়াবেটিসের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে, তাদের এই ঝুঁকি অনেকখানি কমিয়ে দেয় ভিটামিন ‘ডি’। তবে তার মাত্রা কতখানি হবে, সেটি নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে।
টাইপ-টু ডায়াবেটিসে বেশি আক্রান্ত হয় মানুষ। এতে রক্তে চিনির মাত্রা বাড়তেই থাকে, কিন্তু সেটি নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, কিডনি, চোখ আর স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেখা দেয় নানা জটিলতা।
পিট্টাস বলছেন, সূর্যের আলোর মুখোমুখি হওয়া অর্থাৎ এর ফলে ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি হয়, যা ডায়াবেটিস ঝুঁকির সঙ্গে সম্পর্কিত।
ভিটামিন ‘ডি’ শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়ক। এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জোরালো করে। সূর্যের আলো ছাড়াও নানা ধরনের ফরটিফায়েড খাবারে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যাবে। তৈলাক্ত মাছ, কলিজা, পনির, ডিমের কুসুম, মাশরুমে ভিটামিন ‘ডি’ রয়েছে। উন্মুক্ত ত্বকে সূর্যের আলো পড়লে দেহে তৈরি হয় ভিটামিন ‘ডি’।
তবে এতদিন হাড়ের গঠনে ভিটামিন ‘ডি’ কাজ করে জানা গেলেও, এখন ডিটামিন ‘ডি’ ক্যানসার সেল হ্রাস করে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক আর প্রদাহ কমায়।