
ছয় মাস আগে তার সঙ্গে চুক্তিটা শেষ হয়ে গিয়েছিল রেয়াল মাদ্রিদের। বয়স হয়ে গেছে ৩৪, মাদ্রিদ আর তার মধ্যে লাভ দেখেনি। তবে এরপর মার্সেলোর সময়টাও কেটেছে বেশ বাজে। গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে এক বছরের চুক্তিতে গিয়ে পাঁচ মাসও ঠিকমতো টিকতে পারেননি।
এই তো, দিন সাতেক আগে মার্সেলোর সঙ্গে চুক্তিটা শেষ করে দেয় অলিম্পিয়াকোস। দুই পক্ষের সম্মতিতেই অবশ্য তা হয়েছে। এরপর মার্সেলোর সৌদি আরবে আল-নাসরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে যোগ দেয়ার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল বটে। তবে শেষ পর্যন্ত সৌদি আরব নয়, নিজ দেশেই ফেরত গেছেন মার্সেলো।
৩৪ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান লেফটব্যাকের নতুন ক্লাব? নাহ, নতুন না বলে পুরোনো ক্লাবই বলা ভালো। শৈশবের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে গতকাল যোগ দিয়েছেন মার্সেলো।
লেফটব্যাক হলেও প্রথাগত লেফটব্যাক তো আর মার্সেলো কখনো ছিলেন না, বল পায়ে তার দক্ষতা কোনো উইঙ্গারকেও সহজেই টেক্কা দেয়ার মতো। কিংবদন্তিতূল্য লেফটব্যাকের ক্যারিয়ারের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি আর ক্লিপস দিয়ে বানানো ভিডিও দিয়ে কাল টুইটারে ফ্লুমিনেন্স লিখেছে, ‘ফ্লুমিনেন্স সব সময়ই তোমার ঘর ছিল, এখনো তোমারই ঘর, মার্সেলো।’
ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির সঙ্গে মার্সেলোর চুক্তি ২০২৪ পর্যন্ত, তবে দুই পক্ষের সম্মতিতে আরও এক বছর বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ থাকবে।
১৩ বছর বয়সে ক্লাবটার একাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন। চার বছর পর সবুজ-মেরুনের মিশেলে তৈরি জার্সিটা গায়েই পেশাদার ফুটবলে অভিষেক। সে বছরই ব্রাজিলিয়ান লিগের মৌসুমের সেরা একাদশে সুযোগ পেয়ে গেলেন!
এরপর? তার গল্পে ছিল শুধুই রেয়াল মাদ্রিদ। ২০০৭ সালে ১৮ বছর বয়সে স্প্যানিশ ক্লাবটিতে যাওয়া, এরপর সাফল্যে-আনন্দে কেটে গেছে ১৫টি বছর। ৫৪৬ ম্যাচ, ২৫ শিরোপা – যার মধ্যে পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগ। রেয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসেই তার চেয়ে বেশি শিরোপা আর কারও নেই। তা মাদ্রিদ অধ্যায়ের পর অলিম্পিয়াকোস-দুঃস্বপ্নের পাঁচ মাস শেষে আবার নিজ ঘরেই স্বস্তির খোঁজে মার্সেলো।
‘এই মুহূর্তটা আমার কাছে কী সেটা বলে বোঝাতে পারব না। অনেক বছর ধরেই শেকড়ে ফেরার, যে দলটা আমাকে ফুটবলে আমি যা কিছুই জানি এর সব শিখিয়েছে সেখানে ফেরার স্বপ্ন দেখছিলাম’ – ক্লাবের ওয়েবসাইটে মার্সেলোর অনুভূতির প্রকাশই বলে দেয় ফিরতে পেরে কতটা তৃপ্ত তিনি।\